ঢাকাশনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

১৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ , ০৩:৩৯ পিএম


loading/img

আজ মানিকগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন পাক বাহিনী মানিকগঞ্জের মাটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন ১৪ ডিসেম্বর সকালে দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন এমএনএ আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মাযহারুল ইসলাম চাঁন মিয়া। দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে মানিকগঞ্জে শহীদ হন ৫৮ জন মুক্তিযোদ্ধা।

বিজ্ঞাপন

২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় ক্র্যাক-ডাউনের খবর পাওয়ার পর পরই তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী পরিষদ গঠন করে মানিকগঞ্জের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। ওই রাতেই পরিষদের সিদ্ধান্ত  অনুযায়ী মানিকগঞ্জের ট্রেজারিতে রক্ষিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ বের করে ছাত্র ও যুবকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পরের দিন থেকে ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরীর আলুর গুদামের পেছনে শুরু হয় অস্ত্র প্রশিক্ষণ। এরপর থেকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তি বাহিনীর সঙ্গে পাক বাহিনীর বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এরমধ্যে গোলাইডাঙ্গা, সূতালড়ি, আজিমনগর, বায়রা, নিরালী সাটুরিয়া, নারচি, বালিরটেক, গাজিন্দা, মানরাসহ বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ হয়।

তবে গোলাইডাঙ্গার যুদ্ধ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সব চাইতে সফল যুদ্ধ। গোলাইডাঙ্গার খালের কুমে এই যুদ্ধে ৮২ জন পাক হানাদার ঘটনাস্থলে মারা যায়।
পাক বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের আরেকটি দৃষ্টান্ত তেরশ্রী ট্রাজেডি। ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামে ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী হামলা চালিয়ে তেরশ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান এবং শিক্ষানুরাগী তেরশ্রী গ্রামের জমিদার সিদ্ধেশ্বর রায় প্রসাদ চৌধুরীসহ হত্যা করে ৪৩ জন গ্রামবাসীকে।

বিজ্ঞাপন

ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মুক্তি বাহিনীর আক্রমণে পাক সেনারা মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পিছিয়ে আসতে শুরু করে। ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় পাক বাহিনী মানিকগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

এসএস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |